ইরানের উত্তরাঞ্চলে বুধবার একটি ছোট পুলিশ প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে বিমানের ভেতরে থাকা তিনজন নিহত হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়।
সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘বুধবার রশত শহরের কাছে একটি হালকা প্রশিক্ষণ বিমান প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে পাইলট, কো-পাইলট এবং ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন।’
ইরান দীর্ঘদিন ধরে বিমান দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে আসছে, বিশেষত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে। ইরান কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানের পুরনো বহরগুলো চালু রাখতে তাদের খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহে অনেক বাধা রয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে ইরানের বিমান পরিবহন শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ায়, দেশের বিমান সংস্থাগুলোকে বেসামরিক বিমান বা খুচরা যন্ত্রাংশ কেনার অনুমতি দেওয়া হয়নি, যার ফলে অনেক বিমানের কার্যক্রম স্থগিত করতে হয়েছে।
পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরও ছয়জন গত বছর মে মাসে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। ২০০৯ সালে ইরানি কাসপিয়ান এয়ারলাইনসের একটি টুপোলেভ-১৫৪ বিমান আর্মেনিয়ায় যাওয়ার পথে একটি মাঠে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল, যাতে ১৬৮ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য নিহত হন। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ওই দুর্ঘটনাটি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ঘটেছিল।
এই দুর্ঘটনা ইরানের বিমান নিরাপত্তা এবং বিমান চলাচলের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার বিষয়টি আবারও সামনে আনল।