শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা, সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশ!

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা আরও তীব্র আকার নিয়েছে। ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরসহ কয়েকটি অঞ্চলে প্রাণহানি ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বেড়ে যাওয়ায় সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজধানী ইসলামাবাদ এবং পাঞ্জাব প্রদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবার ভারতীয় সামরিক বাহিনী আজাদ কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে অন্তত আটজন নিহত হন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সরকার জননিরাপত্তার দিকটি বিবেচনা করে ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবে জরুরি সতর্কতা জারি করে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং জনসাধারণকে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা জানায়, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে আরও প্রাণহানির ঝুঁকি কমানো যায় এবং সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।

পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি আমাদের কাম্য, কিন্তু সম্মানের সাথে। যদি কেউ যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়, তাহলে পাকিস্তানের প্রতিটি নাগরিক সেনাবাহিনীতে পরিণত হবে।” তিনি জানান, আন্তর্জাতিক পরীক্ষাগুলো ছাড়া অন্যান্য সব একাডেমিক পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। হাসপাতাল, উদ্ধারকারী দল এবং অন্যান্য জরুরি বিভাগগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে জনগণকে সরকারি নির্দেশনার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানান, ভারতের মিসাইল হামলার জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং কয়েকজন ভারতীয় সেনাকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক করেছে। পাকিস্তানি বাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদর দপ্তরেও পাল্টা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতি স্পষ্ট করছে, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত, কূটনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি