বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে হাতি ও ঘোড়ার মাংস খাওয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ। এক ভিডিও বার্তায় তিনি কোরআন-হাদিসের আলোকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ইসলামে খাওয়া-দাওয়ার বিধান নির্ধারণ করা হয়েছে সুস্পষ্টভাবে। কোরআনে হারাম প্রাণীর তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে, এবং হাদিসেও নির্দিষ্ট কিছু প্রাণীর মাংস খাওয়ার অনুমতি ও নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ঘোড়ার মাংস প্রসঙ্গে সহিহ হাদিসে পাওয়া যায় যে, রাসুল (সা.)-এর সময় সাহাবিরা ঘোড়ার মাংস খেয়েছেন, এবং নবী (সা.) তা নিষিদ্ধ করেননি। তাই ইসলামী ফিকহ অনুযায়ী, ঘোড়ার মাংস হালাল। তবে এটি নির্ভর করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের ওপরও।
অন্যদিকে, হাতির মাংস সম্পর্কে তিনি বলেন, ইসলামী স্কলারদের মতে, হাতি হারাম প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত। কারণ এটি শিকারী প্রাণী নয়, বরং তাৎপর্যপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হয় এবং তার নখ ও দাঁত আছে, যা হারাম প্রাণীদের একটি বৈশিষ্ট্য। অধিকাংশ ফকিহের মতে, হাতির মাংস খাওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ।
এ বিষয়ে তিনি পরামর্শ দেন, ইসলামের বিধান মেনে চলার পাশাপাশি স্থানীয় সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাও বিবেচনা করা উচিত। যা হারাম, তা থেকে বিরত থাকা এবং যা হালাল, তা গ্রহণ করা—এটাই ইসলামের শিক্ষা।