রাস্তাঘাট বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সেবার অভাবে শতাধিক শিশুর করুণ পরিণতি হয়েছে। গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট বন্ধের কারণে এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পারাচিনায় দূর্গম এলাকায়। এই ঘটনা নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং তারা রাস্তাঘাট পুনরায় খুলে দেয়ার দাবিতে ছয়দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রাস্তাঘাট বন্ধ থাকার ফলে ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আপার কুররাম তহসিলের চেয়ারম্যান আগা মুজামিল বলেন, ‘রাস্তাঘাট বন্ধ থাকার কারণে স্থানীয়রা প্রাথমিক চাহিদা যেমন স্বাস্থ্যসেবা এবং খাবার পাচ্ছেন না। চিকিৎসার অভাবে ১০০-এর বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।’
আরও পড়ুন : মুহূর্তের মধ্যে ৪২ যাত্রীর করুণ পরিণতি, অল্পের জন্য বেঁচে যান ২৫
এর জবাবে কুররামের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, গ্র্যান্ড জিরগার (বড় সভা) মাধ্যমে জেলায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান উপজাতি সংঘাত সমাধানের লক্ষ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। সরকার আশা করছে, এই আলোচনা থেকে স্থিতিশীলতা আসবে এবং রাস্তাগুলো পুনরায় খুলে দেয়া সম্ভব হবে।
পারাচিনারের বাসিন্দাদের দুর্দশা তুলে ধরতে করাচির নুমাইশ চৌরাঙ্গি এবং লাহোর প্রেস ক্লাবের সামনে সংহতি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সব কর্মসূচি আয়োজন করেছে মজলিস ওয়াহদাত-এ-মুসলিমিন।
এদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফ জানিয়েছেন, পরাাচিনার সড়ক সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ পুলিশ বাহিনীর অনুমোদন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য হলো শতবর্ষী উপজাতি বিরোধের একটি স্থায়ী ও টেকসই সমাধান করা, যা অঞ্চলটিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অস্থিরতার ছড়িয়ে দিয়েছে।’ পারাাচিনারের চলমান উপজাতি সংঘাত ইতোমধ্যে ১০০-এর বেশি শিশুর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং জেলাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। প্রধান ও ছোট সব সড়কই গত আড়াই মাস বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী অবরোধের ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও কর্তৃপক্ষ এই সংকট মোকাবিলায় সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।